Originally posted in কালের কণ্ঠ on 2 may 2019
সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদ দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, বিড়ি বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্প, এই শিল্পকে ধ্বংসের নতুন পরিকল্পনা করছে চক্রান্তকারীরা। নাসির বিড়ি, আকিজ বিড়ি, কারিগর বিড়ি, আবুল বিড়ির কল্যাণে দেশে আজ বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের (আরডিসি) চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দিলীপ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে, আমার শ্রমিক ভাইদের কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা দিতে হবে। বিদেশি চক্রান্তকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গরিবের পেটে লাথি মারা সহ্য করা হবে না। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, বিড়ি শিল্পকে রক্ষায় সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। বিড়ি শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে আর শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।
তিনি বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানীগুলো দেশে কোন ইনভেস্ট করে না, কোন শিল্প কারখানা গড়ে না। তারা কিভাবে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা বাড়াবে তার ধান্দায় থাকে। অথচ আমাদের দেশিয় বিড়ি শিল্পের কল্যাণে হাজারো কলকারখানা গড়ে উঠেছে। কোটি কোটি মানুষ আজ কাজ করছে।
এদিকে আগামী বাজেটে সাড়ে ১২ টাকার বিড়ির দাম বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হচ্ছে এমন তথ্যের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি এমকে বাঙালী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আগামী বাজেটে সাড়ে ১২ টাকার বিড়ির দাম বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হচ্ছে। খামখেয়াল মতো বিড়ির দাম বাড়িয়ে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার পায়তারা করা হচ্ছে। এই অবিচার সহ্য করা হবে না। দেশব্যপী কঠোর আন্দোলন করবে ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সদস্য মায়া বেগম। অনুষ্ঠানে বিড়ি শিল্প বিষয়ক গবেষণামূলক বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন আরডিসির সাধারণ সম্পাদক জান্নাত ফেরদৌসি।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, আমাদের বিকল্প কর্মের ব্যবস্থা না করে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হলে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব। এছাড়াও সমাবেশ থেকে বিড়ি মালিকদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য দেওয়া করেন শ্রমিক নেতারা।