Originally posted in সারা বাংলা on September 2, 2020
September 2, 2020 | 1:57 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতি বিবচনায় রেখে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে পুনর্গঠন ও পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত ওয়েবিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় জাতীয় নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনী’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীক বলেন, ‘ছয় দফায় বাংলাদেশের নিরাপত্তার যে দাবি সংযুক্ত ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশে তা বাস্তবায়নের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
তিনি বলেন, ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে সেনাবহিনীর মধ্যেও অনক মেরুকরণ হয়েছে। অনেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, চাকুরিচ্যুত হয়েছেন। ফলে, সেনাবাহিনীও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সাবেক এই সেনা প্রধান আরও বলেন, ‘রক্ষীবাহিনীকে সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ বানিয়ে অনেক অপপ্রচার এখনো আছে। অথচ রক্ষীবাহিনী পরিচালিত হত সেনা কর্মকর্তাদের কমান্ডে।’
পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব) খোরশেদ আলম বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন করা ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় কৃতিত্ব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রসীমা নির্ধারণের নীতিগত ও আইনি কাঠামো বঙ্গবন্ধুই করে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার বাস্তবায়ন করতে আমরা অনেক সময় নিয়েছি। যদিও তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রসীমার নায্য অধিকার লাভ করেছি।’
এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিমানবাহিনীর পুনর্গঠনেও বঙ্গবন্ধুর অসামন্য ভূমিকা আছে। এছাড়া তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণেই স্বাধীনতার প্রধম বর্ষপূর্তির আগেই মিত্র বাহিনীর সৈন্য ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।’
ওয়েবিনারে সভাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল।
গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)-এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ-ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ টি এম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেছন।